ভাষা ও সংস্কৃতি |
ভোলা একটি বৃহত্তম গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ হলেও এখানকার সংস্কৃতি বাংলাদেশের অন্যান্য অংশের মতই। বরিশাল, লহ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার মিশ্র সংস্কৃতির প্রভাব আছে এখানে। তবে ভাষার ক্ষেত্রে শহরাঞ্চলে শুদ্ধ বাংলা ভাষা চলমান; আঞ্চলিকতার কোন টান নেই। ভোলার পশ্চিমের কিছু এলাকায় বরিশালের আঞ্চলিক ভাষার প্রভাব আছে। তবে ভোলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রাচীন। পঞ্চাশের দশক থেকে বিভিন্ন গবেষণাধর্মী লেখায় ভোলায় সংস্কৃতি চর্চায় যাত্রা ও নাটকের প্রাধান্য বেশী দেখা যায়। পঞ্চাশের দশকে ভোলায় বিদ্যুৎ ছিলনা। হ্যাজাক জ্বালিয়ে গ্রামে-গঞ্জে যাত্রা, পালাগান ও নাটক হতো। ভোলার প্রথম সঙ্গীতভিত্তিক সংগঠন শিল্পী নিকেতন। নাট্যভিত্তিক সংগঠন মেঘনা শিল্পী সংসদ। এরপর রয়েছে সৃজনী সংসদ। এ সংগঠনগুলোর কার্যক্রম এখন তেমন একটা চোখে পড়ে না। এখানে বর্তমানে বিহঙ্গ সাহিত্য গোষ্ঠী, আবৃত্তি সংসদ, ভোলা থিয়েটার এবং উদীচিসহ বেশ কিছু সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যক্রম রয়েছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমী ও শিশু একাডেমী বেশ বেগবান। জেলা শিল্পকলা একাডেমীর প্রথম নির্বাচিত সম্পাদক অধ্যক্ষ জনাব আফসার উদ্দিন বাবুল। তিনি একাধারে শিল্পী, সুরকার, গীতিকার, সাংবাদিক ও ফাতেমা খানম কলেজের অধ্যক্ষ । শিল্পীদের মধ্যে মনজুর আহমেদ, সাথী করঞ্জাই, রেহানা ফেরদৌস, মৃদুল দে, উত্তম ঘোষ, অতুনু করঞ্জাই, জিয়া, শামস-উল আলম মিঠু, নেয়ামত উল্লাহ, মসিউর রহমান, পিংকু, ভাস্কর মজুমদার, প্রদীপ নাগ, আশীষ ঘোষ, মনিরুল ইসলাম, অমি দে প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। শিশু শিল্পীদের মধ্যে ১৯৮৭ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত সঙ্গীতের ৫টি শাখায় জাতীয় পর্যায়ে ৫টি স্বর্ণ পদক পেয়ে আলোচনায় আছেন ফারজানা আফসার লিয়ানা। জেলায় দু’জন ওস্তাদ সঙ্গীত শিল্পী গুরুদাস নাগ ও মন্টু তালুকদার এবং সঙ্গীত শিল্পী ও সংগঠক হেলাল উদ্দিন আহমেদ (ফেলূ মিয়) মৃত্যুবরণ করার পরও তাদের সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অবদান সবাই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোশারেফ হোসেন শাজাহান একজন সাহিত্যিক, নাট্যকার ও অভিনেতা হিসেবে ষাট দশকে আলোচিত ছিলেন। বর্তমানে তার প্রকাশনা রয়েছে বেশ কিছু। ষাটের দশকের অভিনয় শিল্পী হিসেবে অধ্যক্ষ ফারুকুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, কালীপদ দে, রতন চৌধুরী,আবদুল লতিফ, মাখন ঘোষ, শামিত্ব ঘোষ, সাবেরুল করিম চৌধুরী প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস